মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩দিনের মধ্যে ম্যাজিক গাড়ি প্রকাশ ছারপোকা বন্ধের আলটিমেটাম দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে লামার মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম ও অটোরিক্সা মালিক এবং শ্রমিক সংগঠন গুলো। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় লামা বাজারস্থ কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের কনভেনশন হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লামা অটোরিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন। এসময় মাহিন্দ্র-সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি জালাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রফিক, মাহিন্দ্র-সিএনজি শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোঃ হানিফ, সম্পাদক আবুল খায়ের, টমটম মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, অটোরিক্সা মালিক সমিতির সম্পাদক মোঃ ইউছুপ সহ শতাধিক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
মাহিন্দ্র-সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি জালাল আহমদ বলেন, গত ২৩ এপ্রিল থেকে আমরা পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা ম্যাজিক গাড়ি প্রকাশ ছারপোকা বন্ধে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম ও অটোরিক্সা নিয়ে লামা উপজেলায় আমরা প্রায় ১২শত ড্রাইভার, শ্রমিক ও মালিকরা পরিবার চালায়। গত ২১ এপ্রিল হঠাৎ করে স্থানীয় প্রশাসন কাউকে অবহিত না জীপ মালিক সমিতি স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে চার চাকার ১১টি ম্যাজিক গাড়ি লামার বিভিন্ন সড়কে নামিয়ে দেয়।
মূলত সরকার মহাসড়কে ৩ চাকার গাড়ি নিষিদ্ধ করার পরে সেখানে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে এই গাড়ি গুলো আমদানি করে। ৩ চাকার গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ায় কারণে বিভিন্ন মফস্বল শহরের মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম ও অটোরিক্সা চালিয়ে আমরা পরিবার নির্বাহ করি। লোভের বশবত হয়ে জীপ মালিকরা বিভিন্ন উপ সড়কে এই গাড়ি গুলো প্রবেশ করানোর কারণে মালিকসহ প্রায় ১২শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। এতে করে লামার মাহিন্দ্র, সিএনজি, টমটম ও অটোরিক্সা শ্রমিক তাদের সন্তান, পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্থ কষ্টে পড়েছি। প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা না করলে আগামীতে আরো কঠিন কর্মসূচী দিতে আমরা বাধ্য হব। আগামী তিন দিনের মধ্যে ম্যাজিক গাড়ি গুলো লামা থেকে পরিহার না করলে আমরা কঠিণ আন্দোলনে নামব।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল ম্যাজিক গাড়ি প্রত্যাহারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি ও লিখিত অভিযোগ করা হয়। প্রশাসন বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে ম্যাজিক গাড়ি গুলো সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে বললেও গাড়ি গুলো চালু আছে।
পাঠকের মতামত: